*নেপথ্যে তথ্যের গড়মিল
নিজস্ব প্রতিবেদক : এক বছরে পাইকারিতে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৯ টাকা। যা খুচরায় ১১ টাকা বেড়েছে। সরকারি হিসাবে চালের উৎপাদন যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে আমদানির পরিমাণও।
আবার চাল উৎপাদন নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যেও গড়মিল রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, উৎপাদন ও চাহিদার পরিসংখ্যান বিভ্রান্তির কারণেই চাল নিয়ে চলছে চালবাজি।
চলতি মাসের ২ তারিখ, মিলারদের কাছ থেকে ৬৯ টাকা কেজিতে নাজিরশাইল চাল কিনেছেন কারওয়ান বাজারের পাইকাররা।
তারা বলছেন, ২০২১ সালের জুনে ৬০ টাকা দরে এই চাল কিনেছিলেন । পাইকারীতেই চালের দাম কেজিতে ৯ টাকা বেড়েছে।
আর খরচ ও মুনাফাসহ এক বছরে খুচরায় তা কেজিতে ১১ টাকার বেশি বেড়েছে। এক বছরে কেজিতে মিনিকেট চালের দামও বেড়েছে ১০ টাকার বেশি।
বাজারে রংবেরং এর বিভিন্ন কোম্পানির চালের বস্তার স্তুপ। বিক্রেতারা বলছেন, পুরোনোদের পাশাপাশি চাল ব্যবসায় নতুন নতুন ব্যবসায়ীরা যুক্ত হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে ৩ কোটি ৮৭ লাখ টন চাল উৎপাদনে হয়েছে।
যদিও পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, ওই বছর চালের উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ৭৬ লাখ টন। সরকারি দুই সংস্থার মধ্যেই উৎপাদন তথ্যে পার্থক্য রয়েছে।
মজার ব্যাপার হলো গেল অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদনের পরও, সাড়ে ১৩ লাখ টন চাল আমদানি হয়েছে।
আর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে আমদানি হয়েছে সাড়ে ৯ লাখ টনেরও বেশি চাল। সরকারি হিসাবে চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশে কেন বাড়ছে আমদানি?
ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারি গুদামে ১৭ লাখ ৩৯ হাজার টন চালসহ প্রায় ২০ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে।